লেখক- সম্পাদক: স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, আড্ডা, খেলার সঙ্গী, অফিস, অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এমনকী রাস্তাঘাটে পরিচয়ের পরও অনেকে বন্ধু হয়ে যায়। যেমনটা আমার হয়েছিলো। তবে সব বন্ধুই কি সত্যিকারের বন্ধু হন?
“বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ পরিবারের সদস্যের মতো হয়ে যান।
কেউ বা শত্রুর চেয়েও খারাপ হন।”
“বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবসময় একরকম থাকে না। ব্যস্ততা বা জীবনের নিয়মে দিনে দিনে তা পরিবর্তিত হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সম্পর্ক যদি বিষাক্ত হয়ে ওঠে তখন তা মেনে নেওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।”
এ কারণে সম্পর্কে তিক্ততা আসার আগে কিছু লক্ষণ দেখ ক্ষতিকর বন্ধুকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত। যেমন-
কথা না রাখা বন্ধু : কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা, গেট টুগেদার বা পিকনিক ও জন্মদিনে উপস্থিত থাকার আশ্বাস দিলেও শেষ মুহূর্তে কথা রাখতে পারেন না কেউ কেউ।
এরা বেশিরভাগ সময় বন্ধুর সময়ের মূল্য দেন না। বারবার একই ঘটনা ঘটলে এমন বন্ধু থেকে দূরে থাকা উচিত।
সুবিধাবাদী বন্ধু : অনেকেরই বন্ধু তালিকায় এমন কেউ কেউ আছেন যারা স্বার্থের জন্যই বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন। দেখা যায়, এদের নিয়ে কোথাও খেতে বসলে সব সময় খাবারের বিল আপনাকেই দিতে হচ্ছে। এমন বন্ধুর কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। নোট:- যদিও এ বিষয়টি আমার অভিজ্ঞতার বাইরে।
হতাশ বন্ধু : সবার জীবনেই কোনও না কোনও সময় হতাশা বা খারাপ সময় আসে। কিন্তু অনেকে আছেন পরিস্থিতি পরিবর্তন করার চেষ্টা না করে সব সময় নিজের ভাগ্যকে দোষ দেন। এ ধরনের বন্ধুর সঙ্গে বেশিদিন মিশলে আপনার মধ্যেও নেতিবাচক ভাব চলে আসবে। এ কারণে এমন বন্ধুদের থেকে দূরে থাকা উচিত।
প্রতিযোগী বন্ধু : এমন অনেকেই থাকেন যারা সবসময় বন্ধুর চেয়ে জীবনে এগিয়ে থাকাতে প্রতিযোগী মনোভাব নিয়ে থাকেন। এ জন্য তারা প্রয়োজনে অনৈতিক কাজ করতেও দ্বিধা করেন না। এ ধরনের বন্ধু থেকেও দূর থাকা উচিত।
নিয়ন্ত্রক বন্ধু : কিছু বন্ধু আছেন, যারা সবসময় আপনাকে বা অন্য বন্ধুদের চিন্তাধারা, সিদ্ধান্ত এমনকী কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এরা অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে বা দিক নির্দেশনা দিতেই পছন্দ করেন। একটা পর্যায়ে এমন বন্ধুরা আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও আপনাকে কোনও কাজ করতে বাধ্য করবেন। তাই এসব বন্ধুর কাছ থেকে দূরে থাকুন।
পরচর্চাকারী বন্ধু : এমন অনেক বন্ধু আছেন যারা সব সময় অন্যদের নিয়ে সমালোচনা বা পরচর্চা করতে পছন্দ করেন। এমনকী অন্যদের নিয়ে গল্প সাজাতেও তাদের জুড়ি নেই। এদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
অযাচিত বন্ধু : কিছু মানুষ আছেন যারা আপনার সত্যিকারের বন্ধু না হলেও কথাবার্তায় বা আচরণে আপনার কাছের বন্ধু হিসেবে নিজেকে দাবি করেন। সাধারণত কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই তারা এমনটা করেন। নিজের স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায় না।
আবেগতাড়িত বন্ধু: কিছু বন্ধু আছেন যারা মানসিকভাবে আপনাকে সব সময় আঁকড়ে রাখতে চায়। তাই আপনার সঙ্গী বা অন্য কোনও বন্ধুর সঙ্গে আপনাকে দেখলে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এ ধরনের আবেগতাড়িত বন্ধুর কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো।
“বিশ্বাস ঘাতককে গালি না দিয়ে ধন্যবাদ দিন, কারন সে আপনাকে মানুষ চিনতে শিখিয়েছে।”
Leave a Reply