নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে তারা বলেছেন, ‘ব্যর্থ ও দুর্নীতিবাজ’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবকে অপসারণ করতে হবে। রোজিনা ইসলামকে হেনস্তাকারী আমলা ও পুলিশের শাস্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সংবাদপত্র-সাংবাদিকতার ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ আল কাফি রতন, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, ইউসিএলবির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন বাসদের ঢাকা মহানগর নেতা জুলফিকার আলী।
নেতারা জানান, রোজিনার গ্রেপ্তারের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতা, মানবাধিকার ও নাগরিক মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত এবং নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করেছে। মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের ফলে প্রমাণিত হয়েছে বর্তমান সরকার দুর্নীতিবাজদের রক্ষাকর্তা। এর ফলে এও প্রমাণিত হয়েছে যে, সরকার সত্য গোপন করতে চায়। শুধু তাই নয়, সরকার জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার চেয়ে দুর্নীতি লুকাতেই বেশি তৎপর।
বাম নেতারা বলেন, রোজিনাকে নির্যাতনের ঘটনার পর আমলাদের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্লজ্জ সাফাই গাওয়ায় প্রমাণ হয় ‘চোরের সাক্ষী গাঁট কাটা’। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, টিকা ক্রয়ের চুক্তির নথি রোজিনা সরিয়েছেন, ছবি তুলেছেন। এই ঘটনা সত্যি হলে এ মামলার প্রধান আসামি হওয়া উচিত স্বাস্থ্য সচিবের। কারণ তিনি রাষ্ট্রীয় গোপন নথি কেন একান্ত সচিবের টেবিলে উন্মুক্ত জায়গায় রাখবেন?
নেতারা বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে ১৯২৩ সালে প্রণীত ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’, স্বাধীন দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় যুক্ত করা হয়েছে। এই কুখ্যাত আইনে রোজিনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা অবিলম্বে এ আইন বাতিলের দাবি জানান।
Leave a Reply