শরিফুল আলম চৌধুরী: সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি।
বুধবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই শোক জানান
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি।
এসময় ডা. মুরাদ হাসান এমপি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন সাধারণ মানুষকে আইনি সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি আইনজীবীদের পরম বন্ধুখ্যাত আব্দুল বাসেত মজুমদারের আইন অঙ্গণে অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। গরীবের আইনজীবী হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করণে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ আইনী বিষয়ে তিনি আদালতকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন। তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। দরিদ্র মানুষের আইনজীবী হিসেবে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি জুনিয়র আইনজীবীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন। জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে তাঁকে স্মরণ রাখবে।
তাঁর এই অসময়ে চলে যাওয়া জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশ এক দেশপ্রেমিক, মেধাবী সন্তানকে হারালো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হারালেন দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত সহযোদ্ধাকে।
মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল বাসেত মজুমদার। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন। তার এক ছেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। এক মেয়ে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।
বাসেত মজুমদারের ছেলে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন প্রমুখ।
অংশ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
জানাজার আগে বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও মরহুমের ছোট ছেলে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
জানাজা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল।
পরে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এখন তাকে কুমিল্লার লাকসামে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।
Leave a Reply