শরিফুল আলম চৌধুরী: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
স্বাধীনতা ও একুশে পদক প্রাপ্ত প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, হাসান আজিজুল হক ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “বঙ্গবন্ধু চেয়ার” পদে মনোনীত হন এবং ২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি বহু ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী রচনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস ও প্রবন্ধসমূহের মধ্যে রয়েছে ‘সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য’, ‘আগুন পাখি’, ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’, ‘তৃষ্ণা’, ‘উত্তরবসন্তে’, ‘বিমর্ষ রাত্রি’, ‘প্রথম প্রহর’, ‘পরবাসী’, ‘আমৃত্যু’, ‘আজীবন’, ‘জীবন ঘষে আগুন’, ‘খাঁচা’, ‘ভূষণের একদিন’, ‘ফেরা’, ‘মন তার শঙ্খিনী’, ‘মাটির তলার মাটি’, ‘শোণিত সেতু’, ‘ঘরগেরস্থি’, ‘সরল হিংসা’, ‘খনন’, ‘সমুখে শান্তির পারাবার’, ‘অচিন পাখি’, ‘মা-মেয়ের সংসার’, ‘বিধবাদের কথা’, ‘সারা দুপুর’ ও ‘কেউ আসেনি’। সাহিত্যে অবদানের জন্য হাসান আজিজুল হক ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৯ সালে তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
সাহিত্য অঙ্গণে তার অবদান অপরিসীম। তিনি লেখনীর মাধ্যমে যেমন বাংলা সাহিত্যের দিগন্ত বিস্তৃত করেছেন তেমনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের চেতনা ও প্রেরণার শক্তি যুগিয়েছেন এবং রাজনৈতিক-সামজিক-সাংস্কৃতিক মানুষের সাথে মিলে প্রগতিশীল বহু আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মতো একজন গুণী মানুষের মৃত্যু দেশের সাহিত্য অঙ্গণের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
Leave a Reply