শরিফুল আলম চৌধুরী: ঢাকায় সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কাউকে সংখ্যালঘু হিসেবে দেখে না, এখানে সব নাগরিকের সমান অধিকার। এসময় বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে কাজ করায় এ অঞ্চলে শান্তি বিরাজ করছে বলেও ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দকে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বুধবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের রাষ্ট্রপতির বৈঠক শুরু হয়।
এসময় বাংলাদেশ সফরে আসায় রাম নাথ কোবিন্দকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচনে দু-দেশের একসঙ্গে আরও কাজ করার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনদিনের সফরে ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। ঢাকায় পৌঁছার পর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে।
পরে সেখানে তিনি একটি চারা রোপণ করেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।এর আগে বেলা সোয়া ১১টার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন তিনি।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপনী উদযাপন এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ।
বিমানবন্দরে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান এবং তার স্ত্রী সবিতা কোবিন্দকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় রামনাথ কোবিন্দকে। পরে, তাকে গার্ড অব অনার দেয় তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল। দেয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনাও।
এরপর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের রাষ্ট্রপতি। পরে সেখানে গাছের চারা রোপণ এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।
ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বাংলাদেশে রাম নাথ কোবিন্দের এটি প্রথম সফর। শুক্রবার রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে দিল্লি ফিরবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আদর্শ ভবিষ্যতের পাথেয় হবে বলে মনে করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থী বইয়ে এমন কথা লিখেছেন তিনি।
রাম নাথ কোবিন্দ উল্লেখ করেছেন, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের সম্মান ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সেখানে উপস্থিত হয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে সম্মান বোধ করছেন বলে প্রকাশ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলা মুক্তিবাহিনী, আত্মত্যাগ করা মুক্তিযোদ্ধাসহ সব নারী ও পুরুষ যারা দেশের এই সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের রাষ্ট্রপতি।
Leave a Reply